1. info@www.sristytv.com : NEWS TV : NEWS TV
  2. info@www.sristytv.com : Sristy TV :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ রেলওয়ের স্ক্র্যাপ বিক্রয় নীতিমালা সংস্করণে বেড়েছে প্রতিযোগিতা ও আয়

চট্টগ্রাম অফিস
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিত্যক্ত অব্যবহৃত যন্ত্রাংশ (স্ক্যাপ) বিক্রয় সংক্রান্ত বিধিমালা ২০২০ সংস্করণ করে একাধিক স্থান হতে দরপত্র ক্রয় ও দাখিলে সংস্থান সৃষ্টি করা হয়। এছাড়া বিক্রয় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সংস্কার করে বহিঃসদস্য অন্তর্ভুক্ত করে পুনর্গঠন করা হয়। এতে দরপত্রে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এবং স্ক্র্যাপ মালামালে মূল্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে রেলের আয়।

স্ক্র্যাপ মালামাল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২০ সালে গেজেট নোটিফিফিকেশনের মাধ্যমে রেলের জন্য নির্ধারিত বিধিমালা স্টোরস কোড এর প্যারা ২৩২০ ও প্যারা ২৩২২ সংশোধন করে একাধিক স্থানে দরপত্র বিক্রয় ও দাখিলের সংস্থান সৃষ্টি এবং কমিটিতে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ও অন্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিকে বহিঃসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ও আহবায়ক হিসেবে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) এবং সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রককে সদস্য-সচিব ও ভোক্তা বিভাগের প্রধানকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। কর্তৃপক্ষের এ ধরণের দূরদর্শী দৃঢ় সিদ্ধান্তের ফলে রেলওয়ে স্ক্যাপ বিক্রয় দরপত্রের স্বচ্ছতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে প্রতিযোগিতা ও রেলওয়ের আয়।

বিগত দুই বছরের বিক্রয় দরপত্রে অংশগ্রহণকারী কতিপয় দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে জানা যায় পূর্বে শুধুমাত্র সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে দরপত্র দলিল বিক্রয় ও দাখিলে সুযোগ ছিল। ফলে সে সময় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভয়ে দরপত্র দলিল ক্রয় ও দাখিল অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বর্তমানে রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ৬টি স্থানে দরপত্র দলিল বিক্রয় করা হয় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রামে দরপত্র দাখিল করা যায় এবং একযোগে দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। ফলে কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিনা প্রতিযোগিতায় স্ক্র্যাপ বিক্রয় চুক্তি লাভের সুযোগ রহিত হয়েছে। আর এতেই স্ক্র্যাপ মালামালের মুল্য পুর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই অর্থ বছরে সবচেয়ে বড় বিক্রয় দরপত্র ছিল ৮ আইটেমের ১৪০৯ দশমিক ০১৫ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ মালামাল বিক্রয় (দরপত্র প্যাকেজ নং সেল/২২/২০২৩)। এই দরপত্রেও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তথ্যনুন্ধানে দেখা যায় দরপত্রটিতে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করা হয় এবং নোটিশটি গত ১৫/৯/২৩ তারিখে দৈনিক বাংলাদেশ টুডে ও দৈনিক পূর্বদেশ এবং ১৬/৯/২৩ তারিখে দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই দরপত্রেও ঢাকাতে ১টি, রাজশাহীতে ১টি এবং চট্টগ্রামের ১টিসহ মোট ৬টি স্থানে দরপত্র দলিল ক্রয় ও দরপত্র দাখিলের সুযোগ ছিল। দরপত্র নির্ধারিত সময়ে দরপত্রদাতাগণের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্র উন্মুক্তকরণের পর মূল্যায়নের জন্য দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির আহবায়ক তথা অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) এর সভাপতিত্বে রেলভবনের ৪১১ নং কক্ষে দরপত্র মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুত্র জানায় একাধিক স্থানে দরপত্র দলিল ক্রয় ও জমা দেয়ার সুযোগ রাখায় টেন্ডার কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ফলে টনপ্রতি ৫৫ হাজার ৮৬১ ও ৫৫ হাজার ৮৫১ টাকা ৩০ পয়সা দরে ১৪০৯.০১৫ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ এর দাম ৭ কোটি ৮৭ লাখ ৮ হাজার ৫৮৬ টাকা দর দিয়ে এস এ কর্পোরেশন সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। একই পরিমাণ স্ক্র্যাপের ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৩ হাজার ২৭০ দশমিক ৭২৫ টাকা দর দিয়ে সজীব এটারপ্রাইজ ২য় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আহবায়ক বাংলাদেশ রেলওয়ের এডিজি (আরএস), সদস্য সিএমই/পূর্ব, রেল মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (উন্নয়ন) ও গণপূর্ত বিভাগের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সদস্য সচিব সিওএস (পূর্ব) এর মতামতের ভিত্তিতে রেলের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) এই টেন্ডার অনুমোদন করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবার পুর্বের তুলনায় আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।

উদ্ধৃত দর এবং দরপত্রের বিভিন্ন শর্তাবলীর আলোকে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব), এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব একটি “তুলনামূলক বিবরণী” দাখিল করেন। দরপত্র দাখিলকারী ২টি প্রতিষ্ঠানই দরপত্রের সকল শর্তাবলী পরিপালন করায় প্রতিষ্ঠানসমূহকে কারিগরিভাবে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করার পক্ষে কমিটি মতামত দেন। ১ম ও ২য় সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলির কাগজপত্র ও বাজার যাচাই করে উভয়ের বিক্রয় দরের পার্থক্য উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গ্রহণযোগ্য ১ম সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এ কর্পোরেশন ৮ আইটেম স্ক্র্যাপ মালামালের মধ্যে ৭ টি প্রতি মেট্রিক টন ৫৫,৮৬১ টাকা এবং ১টি আইটেম প্রতি মেট্রিক টন ৫৫,৮৫১ টাকা ৩০ পয়সা দরে টেন্ডারকৃত ১৪০৯.০১৫ মেট্রিক টন মালামাল ক্রয়ের জন্য ৭,৮৭,০৮,৫৮৬ টাকা (উৎস কর ও মূল্য সংযোজন কর ব্যতিত) দর উদ্ধৃত করে। যা পূর্বের দরের চেয়ে টনপ্রতি ৩৩১১ টাকা এবং ৩,৩০১/৩০ টাকা বা ৬.৩০% এবং ৬.২৮% বেশি। ফলে উদ্ধৃত দর শেষ বিক্রয় দরের তুলনায় বেশী ও চলমান বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে কমিটি সভায় একমত পোষণ করে এবং উক্ত দরে আলোচ্য মালামাল ১ম সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান এসএ কর্পোরেশনের নিকট বিক্রয়ের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এই বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও টেন্ডার কমিটির সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সজীব এটারপ্রাইজ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাবরে কোন অভিযোগ দাখিল করেননি। অন্য কোন জায়গায় অভিযোগ করার কথা তিনি অবহিত নয়। তিনি আরও জানান ২০২০ সালের পর হতে বিক্রয় দরপত্র প্রক্রিয়াকরণের নতুন বিধিমালা জারী করা হয়। এর পর হতে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামুলক দরপত্রের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতার সাথে স্ক্র্যাপ বিক্রয়ের চুক্তি করা হচ্ছে। আলোচ্য দরপত্রের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টোরস কোড অনুযায়ী ও এ সংক্রান্ত সংশোধিত নির্দেশমালা এবং সর্বশেষ সরকারি আদেশ ও বিধিমালার আলোকে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র আহবান হতে শুরু করে, দাখিল ও উন্মুক্তকরণ, মুল্যায়ন ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক অনুমোদনসহ চুক্তি স্থাপনসংক্রান্ত প্রত্যেকটি ধাপ নিয়মানুযায়ী শতভাগ সঠিকভাবে সম্পাদন করা হয়েছে। ১ম সর্বোচ্চ দরদাতার দরপত্রটি কারিগরকীভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় ২য় সর্বোচ্চ দরদাতার (সজীব এটারপ্রাইজের) উদ্ধৃত দরে চুক্তি করা যায় না। ফলে সজীব এটারপ্রাইজ যদি কোন অভিযোগ করে সেটি শতভাগ ভিত্তিহীন ও আবেগপ্রসূত।

এবিষয়ে টেন্ডারের সর্বোচ্চ দরদাতা এস এ কর্পোরেশনের প্রোপ্রাইটর মো. শাহ আলম বলেন, আমি সমস্ত নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ ক্রয়ের টেন্ডারে অংশ নিয়েছি। বর্তমান বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দর সাবমিট করেছি ফলে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছি। আমার ব্যবসায়ীক  প্রযোজনীয কাগজপত্র সব আপডেট আছে সুতরাং টেন্ডারটি আমিই পাওয়ার একমাত্র দাবিদার। কাউকে কোন অনৈতিক সুবিধা বা কমিশন দিতে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি  সরকারকে উপযুক্ত রাজস্ব দিয়ে ব্যবসা করি।  এক্ষেত্রে কাউকে ম্যানেজ  করার প্রয়োজন হয়না বা  কোন ধরণের উৎকোচ বা কমিশনও দিতে হয়না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© 2024 - sristy tv. All Rights Reserved.